
প্রাইম নারায়ণগঞ্জ:
শীতের সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের পাড়ায় পাড়ায় জমে উঠেছে ব্যাডমিন্টন খেলা। শীত এলেই বাড়ির আঙিনা বা অন্য কোথাও জমে ওঠে এই মৌসুমি খেলা। সারাদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে সন্ধ্যা নামতেই ফ্লাডলাইটের আলোয় সরগরম হয়ে ওঠে ব্যাডমিন্টন কোর্টগুলো। এসময় র্যা কেটে বাড়ি খেয়ে কর্কের ছুটে যাওয়ার (ফশ..ফশ)শব্দে মুখরিত হয় চারপাশ। খেলার মাঠে স্ম্যাশ, নো..সার্ভিস, লস্ট, সাইড চেঞ্জ, গেম বল, কোর্ট থেকে ভেসে আসে চিৎকার।
অনেক এলাকায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলে আয়োজন করে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টেরও। শীতের হিমেল হাওয়া যাতে খেলার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সেজন্য কোর্টের চারপাশ ঘিরে লাগানো হয় পাটের তৈরি চট। মাঠের চারপাশ ঘিরে খেলা দেখতে উৎসুকেরা খেলার আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
যেখানে খেলার জন্য উপযুক্ত মাঠে নেই সেখানেও থেমে নেই ব্যাডমিন্টন। কেউ কেউ বাড়ির ছাদেই কোর্ট বানিয়ে লাইট সেট করে খেলতে নেমে পরে নানা বয়সী মানুষ। ছাদে ব্যাডমিন্টন খেলায় যদিও অনেক ঝুঁকি থাকে বার বার কর্ক নিচে পরে যাওয়ার।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম বলেন, শীত মৌসুমে প্রতিবছর এলাকার সব বন্ধুরা মিলে ব্যাডমিন্টন কোর্ট বানাই, এবারও বানিয়েছি। অন্য এলাকা থেকে অনেক বন্ধুকে খেলতে আসতে বলি, এতে আরো জমে ওঠে খেলা। তিনি বলেন, শীতকাল মানেই ব্যাডমিন্টন। প্রতি বছর শীত এলেই আমাদের ক্যাম্পাসে ব্যাডমিন্টন জমে ওঠে। অনেক রাত পর্যন্ত চলে এই খেলা।
কলেজ শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, শীতের দাপটকে কুপকাত করতে ব্যাডমিন্টন এক কথায় অনবদ্য। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে চাঁদা দিয়ে ব্যাডমিন্টন কোর্ট বানিয়েছি। যার যার র্যা কেট সে সে নিয়ে আসে। সবাই মিলে প্রতিদিন কর্ক কিনে খেলি।
৭ম শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, করোনার কারণে এবার সব স্কুল বন্ধ, নেই পরীক্ষার চাপ তাই এবার ব্যাডমিন্টন খেলা বেশ জমে উঠেছে। বড়দের মতো রাতে খেলতে না পারলেও বিকেল হলেই র্যা কেট হাতে খেলতে নামি সব বন্ধুরা। প্রতি বছর এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করি।
No posts found.